লোক মুখে শোনা যায় ১৯১১ সন পূর্ববর্তী সময়ে অত্র এলাকায় শিক্ষা প্রসারের জন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না । তখন শিক্ষা প্রসারের জন্য ব্যাক্তি বিশেষের উদ্যেগে টোল ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা দান করা হত । টোল ব্যবস্থার অধিনে শিক্ষাদান করতেন এমনি একজন শিক্ষক ছিলেন ঈশান ভদ্র । পরবর্তী সময়ে ১৯১১ সনে অত্র এলাকার হিন্দুধর্মীয় পান বরজ চাষীদের উদ্দ্যেগে চাদা দানের ভিত্তিতে ঈশান ভদ্রের নেতৃত্ব এম,ই,জজ একাডেমী নামে একটি মহিনর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় কিন্তু নেতৃত্বের অভাবে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম বেশীদুর অগ্রসর হতে পারেনি । অতঃপর ১৯৩০ হইতে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত বিশ্বেস্বর দাস গুপ্ত বি,এসসি গ্রাম-গোয়ালচামট জেলা-ফরিদপুর এর পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুলটি এম,ই,জজ একাডেমী নামে পুনরায় চালু হয় । সঠিক নেতৃত্বের অভাবে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম পুনরায় স্থগিত হইয়া যায় । দেশ ভাগের পর ১৯৪৭ সনে বিভিন্ন সুধীমহল বিদ্যালয়টি পুনরায় চালুর জন্য উদ্যেগ গ্রহন করেন । এদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য,
(১) রায় বাহাদুর বিনদ লাল ভদ্র
(২) জগদীশ চন্দ্র ভদ্র
(৩) রাধিকা মহন ভদ্র
(৪) মতি লাল দত্ত
এদের মধ্য থেকে বাবু জগদীশ চন্দ্র ভদ্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন । তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ সন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন । তিনি তখন এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার কার্যক্রম পুনরায় বন্ধ হয় । অতঃপর ১৯৫৮ সন থেকে ১৯৬১ সন পর্যন্ত জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে বিদ্যালয়টি পুনরায় সচল করেন । জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন পরবর্তীতে জাতিয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়াছিলেন । অতঃপর ১৯৬১ হইতে ১৯৬৩ইং পর্যন্ত এ,বি,এম খলিলুর রহমান এবং ১৯৬৪ ইং হইতে ১৯৭১ ইং পর্যন্ত সুভাম মালাকার গ্রাম-ভদ্রকান্দা, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, প্রধান দায়িত্ব পালন করেন । তার সময়ে ১৯৭০ ইং বিদ্যালয়টি আব্দুলাবাদ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং উক্ত স্বীকৃতি পেতে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন,
(১) জনাব ছয়জদ্দিন মাতুব্বর
(২) জনাব হাজী আঃ মজিদ
(৩) জনাব মোমরেজ খান
(৪) জনাব আনোয়ারুল মুন্সী
(৫) জনাব আঃ হাকীম বেপারী
(৬) জনাব আঃ রহমান খান
ইহা ছাড়াও বাবু রাধাবল্লভ দে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ৪.৫৬ একর জমি দান করেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে আজীবন দাতা সদস্য হিসাবে ছিলেন । পরবর্তিতে ১৯৭৫ ইং সনে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয় । মাধ্যমিক স্বীকৃতি পেতে সহযোগিতায় ছিলেন,
(১) জনাব মোঃ জুলপু খান
(২) জনাব কাশেম পঞ্চায়েত
(৩) জনাব ডাঃ আবু আলী খান
(৪) জনাব মোঃ হানিফ মাতুব্বর
১৯৭৫ ইং সনে মাধ্যমিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির পর থেকে বিদ্যালয়টির আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অতঃপর ২০১০ ইং সনে জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল হাশেম খান ম্যানেজিং কমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিদ্যালয় অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন সহ শিক্ষার মানের উন্নয়ন গটে । বর্তমানে বিদ্যালয়টির পাবলিক পরিক্ষার ফলাফল সন্তষজনক এবং শতকরা হিসাব তার পরিমাপ ৯২% ।